উত্তর :-
টিপু সুলতান ছিলেন ভারতের মহিশূর রাজ্যের শাসক হায়দার আলির পুত্র। ১৭৮২ খ্রিস্টাব্দে হায়দার আলির মৃত্যুর পর তিনি মহিশূরের শাসক হয়েছিলেন।
ভারতে ইংরেজ ও ফরাসিদের সম্পর্ক :-
ইংরেজ ও ফরাসিরা ভারতে ব্যাবসা করার জন্য এসেছিল। ভারতে ইংরেজ ও ফরাসিরা ছিল একে অপরের শত্রু।
ফরাসিদের সঙ্গে টিপু সুলতানের সম্পর্ক :-
১৭৬৭ খ্রিস্টাব্দে হায়দার আলির সময় থেকে ইংরেজরা মহিশূর রাজ্য দখল করার জন্য যুদ্ধ শুরু করেছিল। ফলে ইংরেজদের শত্রু ফরাসিরা ছিল মহিশূরের বন্ধু। মহিশূরের সিংহাসন লাভ করার পর টিপু সুলতান ইংরেজদের বিরুদ্ধে ফরাসিদের সাহায্যলাভে সচেষ্ট হয়েছিলেন। ১৭৮৪ ও ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে ফরাসিদের সাহায্য চেয়ে তিনি দূত পাঠিয়েছিলেন।
- ১৭৯১ খ্রিস্টাব্দে টিপু সুলতান ফ্রান্সে দূত পাঠিয়ে রাজা ষোড়শ লুই-এর সাহায্য চেয়েছিলেন। কিন্তু ফ্রান্সে বিপ্লব চলার ফলে রাজা সাহায্য করতে পারেননি।
- তারপর ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের অবসান হয়। ফ্রান্সে বিপ্লবীদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় গণতান্ত্রিক সরকার। টিপু সুলতান বিপ্লবী সরকারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছিলেন। জেকোবিন ক্লাবের সদস্য হয়েছিলেন তিনি। তিনি ফরাসি বিপ্লবকে সমর্থন করে রাজধানী শ্রীরঙ্গপত্তমে “স্বাধীনতার স্মারক বৃক্ষ” (Tree of Liberty) রোপণ করেছিলেন।
- তিনি কাবুল, কনস্টান্টিনোপল, মরিসাসের ফরাসি ঘাঁটিতে দূত পাঠিয়েছিলেন। তবে ফরাসিদের কাছ থেকে তিনি আশানুরূপ সাহায্য পাননি।
মন্তব্য :-
অষ্টাদশ শতকে টিপু সুলতান যে সুদূর বিশ্বের সঙ্গে রাজনৈতিক সংযোগ স্থাপনের চেষ্টা চালান এবং ফরাসি বিপ্লব ও প্রজাতান্ত্রিক সরকারের প্রতি যে সমর্থন জ্ঞাপন করেন, তা তাঁর আন্তর্জাতিকতাবাদের পরিচয় দেয়।
ফরাসি বিপ্লবে গ্রামীণ জনতার ভূমিকা কী ছিল ?
উত্তর :-
গ্রামীণ জনতার ভূমিকা :-
ফরাসি বিপ্লবে গ্রামীণ জনতার ভূমিকা ছিল অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য। বাস্তিল দুর্গ অভিযান গ্রামের কৃষকদের উৎসাহিত করে। তারা অত্যাচারী সামন্তপ্রভুদের ঘরবাড়ি ধ্বংস করে, দলিলপত্র পুড়িয়ে ব্যাপক ও ভয়াবহ আন্দোলন করেছিল।
মহা আতঙ্ক :-
এই আন্দোলনের ফলে সৃষ্টি হয়েছিল ‘মহা আতঙ্ক’ (Great Fear)। প্রাণের ভয়ে শহরে পালিয়ে গিয়েছিল অনেকে। এইভাবে গ্রামাঞ্চলে কৃষক বিদ্রোহ সফল হয়েছিল।
শ্রমিকশ্রেণি :-
আবার লাব্রুস (Labrousse)-এর মতে, নিত্যব্যবহার্য জিনিসের দাম কমলেও দিনমজুর ও শিল্প শ্রমিকদের মজুরি বাড়েনি, যা তাদের বিপ্লবের পথে নিয়ে যায়।
মন্তব্য :-
খাদ্যাভাব, অর্থাভাব, দুর্ভিক্ষ ও অজন্মার ফলে প্রতি গ্রাম যখন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছিল, তখন ফরাসি সমাজের নীচুতলার মানুষ স্বৈরাচারী রাজতন্ত্র, অভিজাততন্ত্রের অত্যাচার, যাজকদের দুর্নীতি, সামন্ততন্ত্রের শোষণ ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে ফরাসি রাজতন্ত্র ও অভিজাততন্ত্রের সমাধি রচনা করেছিল ।
Note:- আমাদের আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো অবশ্যই নিচে দেওয়া কমেন্ট বক্সে লিখে জানাবেন. ধন্যবাদ
*অন্যান্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন–